ধাঁধাঁর ৫১.
উপর থেকে এলে পাখি
সাদা কাপড় পরে।
ভোজনে বসলে পাখি
মাছ ধরে মারে।
উঃ—বক।
ধাঁধাঁর ৫২.
উপর থেকে এলো পাখি,
শন শন করে।
মরা পাখী কিন্তু,
ধান খায় কড়মড় করে।
উঃ—ঢেকি।
ধাঁধাঁর ৫৩.
উপর হতে পড়লো বুড়ি,
কাথা কম্বল লয়ে।
ভাসতে ভাসতে যায় বুড়ি
কানাই নগর দিয়ে।
উঃ—তাল।
ধাঁধাঁর ৫৪.
উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম
দালান বাড়ি কোঠা।
ভাত শালিকে বলে গেলো,
ফলের আগায় পাতা।
উঃ—আনারস।
ধাঁধাঁর ৫৫.
উলটা দেশের আজব কথা,
সত্য কিন্তু বটে,
পেট দিয়ে সে আহার করে,
মাথা দিয়ে চাঁটে।
উঃ—গর্ভস্থ সন্তান।
ধাঁধাঁর ৫৬.
এমন একটা গাই আছে,
যা দেই তাই খায়,
পানি দিলে মরে যায়।
উঃ—আগুন।
ধাঁধাঁর ৫৭.
উলটালে ধাতু হয়,
সোজাতে জননী
কী শব্দ হয় তাহা,
বল দেখি শুনি।
উঃ—মাতা।
ধাঁধাঁর ৫৮.
উড়তে পেখম বীর,
ময়ূর সে নয়।
মানুষ খায় গরু খায়,
বাঘ সে নয়।
উঃ—মশা।
ধাঁধাঁর ৫৯.
এমন আশ্চর্যের কথা শুনেছো কি ভবে,
কাউকে দিলে পরে, রাখতে তোমায় হবে?
উঃ—কথা।
ধাঁধাঁর ৬০.
উঠান টন টন,
ঘন্টায় বাড়ি।
কোন ছাগলের মুখে দাঁড়ি।
উঃ—রসুন।
ধাঁধাঁর ৬১.
এ কোন ব্যাটা শয়তান,
থাকে বসে ধরে কান।
উঃ—চশমা।
ধাঁধাঁর ৬২.
এপার ঝাটি,
ওপার ঝাটি।
ঝাটিতে করে,
পিটা পিটি।
উঃ—চোখের পাতা।
ধাঁধাঁর ৬৩.
এমন কি বস্তু ভাই তিন অক্ষরে হয়,
যা দ্বারা পৃথিবী সদা পূর্ণ রয়।
প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খেলার বস্তু হয়,
শেষ অক্ষরে আকার দিলে সবাই মিষ্টি কয়।
উঃ—বাতাস।
ধাঁধাঁর ৬৪.
এমন কোন স্থান আছে, দেখতে যেখা পাই,
মাকেদাদী, বৌকে মা, বাপকে বলে ভাই।
উত্তরটা সোজা, একটু খুঁজলেই পাবে,
মাথায় হাত দিয়ে ভাই, কে এতো ভাবে!
উঃ—অভিনয় মঞ্চ।
ধাঁধাঁর ৬৫.
এমন কোন বস্তু আছে যে ধরায়,
না চাইতেই তা সর্বলোকে পায়।
উঃ—মৃত্যু।
ধাঁধাঁর ৬৬.
এমন রক প্রাণি বের করো তো খুঁজে,
সর্বদাই সে হেটে বেড়ায় চোখ না ছুঁজে।
উঃ—মাছি।
ধাঁধাঁর ৬৭.
এমন এক প্রাণী আছে,
ধান চাল খায়।
মাইল মাইল দৌড়ে,
যুদ্ধ করতে যায়।
উঃ—ইঁদুর।
ধাঁধাঁর ৬৮.
এমন কি কথা আছে,
শুনলে রাগ হয়।
কোথাও কেউ খুঁজে পায়নি কেহ
কোনদিন, তবু শোনা যায়।
উঃ—ঘোড়ার ডিম।
ধাঁধাঁর ৬৯.
এমন একটি দেশের নাম বলো,
যার প্রথম দুটি অক্ষরে মানুষ হলে,
শেষের দুটিতে রাস্তা বোঝায়।
উঃ—নরওয়ে।
ধাঁধাঁর ৭০.
এমন একটি শহরের নাম বলো,
যা খোলা নয়।
কিন্তু সত্যি তা নয়,
না বলতে পারলে সবে বোকা কয়।
উঃ—ঢাকা।
ধাঁধাঁর ৭১.
এমন একটি কাপের নাম বলো দেখি ভাই,
যে কাপেতে চা চিনি, দুধ পানি একটুও নেই।
উঃ—হিরো কাপ।
ধাঁধাঁর ৭২.
এরা বাপবেটা ওরা বাপবেটা তালতলা দিয়ে যায়।
তিনটি তাল পড়লে তারা, সমান ভাগে পায়।
উঃ—বাপ, ছেলে, নাতি।
ধাঁধাঁর ৭৩.
এক বৃক্ষে ফুটেছে, এক জোড়া ফুল।
হীরা মানিক কভু নয়, তার সমতুল।
উঃ—চোখ।
ধাঁধাঁর ৭৪.
এক বাড়ির দুই দরোজা দিয়া জল গড়িয়ে পড়ে,
হাওয়া ছাড়া আর হাওয়া নেয়ার পরে।
উঃ—সর্দি।
ধাঁধাঁর ৭৫.
এক বুড়ির আছে বারোটি ছেলে।
তার বারো ঘরে থাকে এখন ৩৬৫ টি ছেলে।
উঃ—বৎসর।
ধাঁধাঁর ৭৬.
এক গাছে তিন তরকারী,
আজব কথা বলি হাড়ি।
উঃ—কলাগাছ।
ধাঁধাঁর ৭৭.
এক গাছে বহু ফল, গায়ে কাটা কাঁটা।
পাকলে ছাড়াও যদি, হাতে লাগে আঠা।
উঃ—কাঠাঁল।
ধাঁধাঁর ৭৮.
এক সাথে সাতটা রঙ,
কোথায় থাকে বলো।
না পারলে বুঝবো,
তুমি বিজ্ঞানে নও ভাল।
উঃ—রংধনু।
ধাঁধাঁর ৭৯.
এক শালিকের তিন মাথা, দেহ মুখে আঠা।
বাক্সের ভিতর ফেলি তবু, যায় দেশ বিদেশ।
উঃ—চিঠি।
ধাঁধাঁর ৮০.
এক ঘরে এক থাম। বল কি তার নাম।
উঃ—ছাতা।
ধাঁধাঁর ৮১.
এক ঘরে জম্ম হয়, দুই সহোদর ভাই।
মানুষের শরীর মাঝে, এর দেখা পাই।
উঃ—চোখ।
ধাঁধাঁর ৮২.
এক হাত গাছটা, ফল ধরে পাঁচটা।
উঃ—হাতের পাঁচ আঙ্গুল।
ধাঁধাঁর ৮৩.
লোহার চেয়ে শক্ত তুলোর চেয়ে নরম।
উঃ—মন।
ধাঁধাঁর ৮৪.
একই দামের শাড়ি, পরে দুইটি মেয়ে যায়।
শাড়ি দুইটির দাম কতো?
সম্পর্কটা জানা চাই।
উঃ—দুই সতীন।
ধাঁধাঁর ৮৫.
একলা তারে যায় না দেখা, সঙ্গী গেলে বাঁচে।
আধার দেখে ভয়ে পালায়, আলোয় ফিরে আসে।
উঃ—ছায়া।
ধাঁধাঁর ৮৬.
একটুখানি পুস্কনি, পানি টলমল করে।
রাজার ছেলের সাধ্য নেই, জাল ফেলতে পারে।
উঃ—চোখ।
ধাঁধাঁর ৮৭.
একটি গাছের বাঁট নাই,
তবু দুগ্ধ হয় প্রচুর।
দোহনকালে থাকে নাকো,
তার নিকটে বাছুর।
উঃ—তালগাছ।
ধাঁধাঁর ৮৮.
একটি হলে কাজ হবে না, দুটি কিন্তু চাই।
দুটি পেলে, হবে চাষী ভাই।
উঃ—বলদ।
ধাঁধাঁর ৮৯.
একটি অক্ষর শিক্ষকে আছে, পন্ডিতে নেই।
কাননে আছে, বাগানে নেই।
উঃ—ক।
ধাঁধাঁর ৯০.
এতো ভালো বিছানা, কেউ যেন বসে না।
উঃ—পানি।
ধাঁধাঁর ৯১.
এখান থেকে ফেললাম ছুরি,
বাঁশ কাটলাম আড়াই কুড়ি।
বাঁশের মধ্যে গোটা গোটা,
আমার বাড়ী চল্লিশ কোটা।
কোঠার উপর কোট জমি,
তার মধ্যে আছে এক রাণী।
উঃ—মৌমাছি।
ধাঁধাঁর ৯২.
ওপারেতে বুড়ি মারল, এপারেতে গন্ধ এলো।
উঃ—কাঠাল।
ওল্টে যদি দাও মোরে হয়ে যাবো লতা।
কে আমি ভেবে চিনতে বলে ফেলো তা।
উঃ—তাল।
ধাঁধাঁর ৯৩.
কোন ফলের বীজ হয় না, বলো দেখি দাদা,
না পারলে লোকে তোমায় বলবে আস্ত গাধা।
উঃ—সবরি কলা।
ধাঁধাঁর ৯৪.
কোন সে রসিক চাঁন, নাকে বসে ধরে কান??
উঃ—চশমা।
ধাঁধাঁর ৯৫.
কোন শহর খুলতে মানা, তা কি তোমার আছে জানা।
উঃ—খুলনা।
ধাঁধাঁর ৯৬.
কোন ফলের উপরটা খাই, ভিতরে তার ফুল,
ভাবতে গেলে তার কথা, পণ্ডিতের হয় ভুল?
উঃ—চালতা।
ধাঁধাঁর ৯৭.
কোন ফলের বীজ নেই, বল দেখি দাদা।
বলতে না পারলে,
হবে তুমি গাধা।
উঃ—নারিকেল।
ধাঁধাঁর ৯৮.
কোন ব্যাংকে টাকা থাকে না। ধার কখনো পাওয়া যায় না।
উঃ—ব্লাডব্যাংক।
ধাঁধাঁর ৯৯.
কোন গাছেতে হয় না ফুল, আছে শুধু গন্ধ।
গাছ তলাতে গেলে পরে,
সবাই পাবে গন্ধ।
উঃ—চন্দন।
ধাঁধাঁর ১০০.
কোমর ধরে শুইয়ে দাও,
কাজ যা করার করে নাও।
উঃ—শিল নোড়া।
The post ধাঁধাঁর আসর পর্ব (২) appeared first on Amar Bangla Post.