ধাঁধাঁ ১.
তিন অক্ষরে নামটি তার আছে সবার ঘরে,
প্রথম অক্ষর কেটে দিলে খেতে ইচ্ছে করে।
মাঝের অক্ষর উড়ে গেলে বাজে সুরে সুরে।
উঃ–বিছানা।
ধাঁধাঁ ২.
তিন বর্ণে নাম তার পুস্প কুরে বাস,
দুয়ে তিনে হের মোরে ফরেতে প্রকাশ
এ তিনে যাহা পাও তারে খেরে সবে,
বরো দেখি কোন নামে চলি ভবে
উঃ—বকুল ফুল।
ধাঁধাঁ ৩.
তিন অক্ষরে নাম মোর নাচতে পারি ভাল,
শেষের অক্ষর বাদ দিলে মারতেও পারি ভাল
উঃ—লাটিম।
ধাঁধাঁ ৪.
তিন বর্ণে নাম তার কে বলিতে পারে,
গৃহ ছাড়া থাকে না সে সবে চিনে তারে।
আদি বর্ণ ছেড়ে দিলে পানি যে গড়ায়,
মধ্যম ছাড়িতে তাতে পানি রাখা যায়।
শেষ বর্ণ ছাড় যদি জ্ঞানের মশাল,
ইহা বিনা ধরাতলে সকলি বেতাল।
উঃ–জানালা
ধাঁধাঁ ৫.
তিন অক্ষরে নাম ভাই আছে দুনিয়ায়,
শেষের অক্ষর বাদ দিলে ভাই,
বাংলায় অর্থ তৈরি হতে হয়।
উঃ—রেডিও
ধাঁধাঁ ৬.
তিন বর্ণে নাম যার অনেকেই খায়,
পেট কেটে দিলে তার তাক হয়ে যায়।
শেষ বর্ণ বিহনে সেজে পিতলেতে রয়,
বলো নবীন ভাই-বোনেরা কোন সে বস্তু হয়।
উঃ—তামাক।
ধাঁধাঁ ৭.
রজনীতে জম্ম তার দিবসে মরণ,
বিনাশ্রমে শূন্যপথে করে সে ভ্রমণ,
ক্ষণে দর্শন হয়ে ক্ষণে অদর্শন,
হঠাৎ পড়িলে সবে বলে অলক্ষণ।
উঃ–তারা
ধাঁধাঁ ৮.
তোমার বৌ তুমি গেলে দেয় না,
কিন্তু আমি গেলে দেয়।
উঃ–ঘোমটা।
ধাঁধাঁ ৯.
রাতের নিঝুম পথে কে চলেছে ছুটে,
রয়েছে কাছে অনেক টাকা পাছে বা কেউ লুটে
উঃ—রানার।
ধাঁধাঁ ১০.
তোর দেশেতে সূর্য ওঠে
সকাল বেলা ভোর বেলাতে
বলতো দেহি কোন দেশেতে
সূর্য ওঠে মাঝ রাতেতে।
উঃ–নরওয়ে।
ধাঁধাঁ ১১.
রাঙ্গা বিবি জামা গায়,
কাটিলে বিবি দুই খান হয়।
উঃ—মসুরির ডাল।
ধাঁধাঁ ১২.
অন্ধ নদী পিছল পথ
হয়না দিন, সদা রাত,
নদীর জন্য সোবেশাম,
পায়ে পড়ে মাথার ঘাম।
উঃ—পেট।
ধাঁধাঁ ১৩.
রাত্রিকালে আঁধারেতে যার যার ঘরে,
তার বাড়িতে সকল লোকে কান্নাকাটি করে।
উঃ—চোর।
ধাঁধাঁ ১৪.
আকাশ ধুমধুম পাতালে কড়া,
ভাঙ্গল হাঁড়ি লাগল জোড়া।
উঃ—মেঘের ডাক ও বিজলী।
ধাঁধাঁ ১৫.
কোন প্রাণী বল দেহি ছয় ছয় পায়ে হাঁটে,
ঘুরতে তাকে তোমরা দেখো
যেথায় খুশি পথে গাটে।
উঃ—পিঁপড়া।
ধাঁধাঁ ১৬.
আল্লাহর তৈরী পথ, সাত রঙ্গে সৃষ্টি,
কভু কভু দেখা যায়, হয় যদি বৃষ্টি।
উঃ—রংধনু।
ধাঁধাঁ ১৭.
আল্লাহর তৈরী রাস্তা,
তৈরি মানুষের সাধ্য নেই।
হরেক রকম নাম তার
বলোতো কি জিনিষ তা?
উঃ—রংধনু।
ধাঁধাঁ ১৮.
আল্লাহর কি কুদরত,
লাঠির মধ্যে শরবত।
উঃ—ইক্ষু।
ধাঁধাঁ ১৯.
আকাশে ঝিকিমিকি,
চৌতালায় তার বাস।
তাকে আবার,
মানুষের খাইতে বড় আশা।
উঃ—হুক্কা।
ধাঁধাঁ ২০.
আকাশে থাকে, অতশে নেই,
নাম কী তার বল তো ভাই?
উঃ—ক।
ধাঁধাঁ ২১.
আট পা, ষোল হাটু, বসে থাকে বীর বাঁটু,
শূন্যে পেতে জাল, শিকার ধরে সর্বকাল।
উঃ—মাকড়সা।
ধাঁধাঁ ২২.
আকাশে আছি, বাতাসে আছি,
নাই পৃথিবীতে।
চাঁদ আর তারায় আছি,
নাই কিন্তু সূর্যতে।
উঃ—আঁধার।
ধাঁধাঁ ২৩.
আকাশ থেকে পড়ল ফল,
ফলের মধ্যে শুধুই পানি।
উঃ—শিলা।
ধাঁধাঁ ২৪.
আকাশে উড়ি আমি,
পাখির আকারে।
মাছ ধরে যাই আমি
দৈত্যের রূপ ধরে।
উঃ—বক।
ধাঁধাঁ ২৫.
আকাশে নাতাসে আছি,
পৃথিবীতে নেই।
চাঁদ আর তারায় আছি
সূর্যতে নেই।
উঃ—আকার।
ধাঁধাঁ ২৬.
আকাশে মস্তক যার পাতালে আঙ্গুল,
মাথার উপর আছে এক ছাতা।
প্রশারিয়া সুত যদি ভূমি হয় স্থিতি
আনন্দেতে নরগণ ধায় দ্রুত গতি।
উঃ—তাল গাছ।
ধাঁধাঁ ২৭.
আগা গোড়া কাটা,
চুলের জন্য সৃষ্টি।
উঃ—চিরুনী।
ধাঁধাঁ ২৮.
আকাশেতে জম্ম তার,
দিবা রাতি থাকে।
লোকে কিন্তু রাত্রিতে
কেবল দেখে।
উঃ—তারা।
ধাঁধাঁ ২৯.
আগ কেটে বাগ কেটে রূপিলাম চারা,
ফল নেই, ফুল নেই, শুধু লতায় ভরা।
উঃ—পান।
ধাঁধাঁ ৩০.
আকাশের বড়ো উঠান,
ঝাড়ু দেওয়ার নেই।
এই যে ফুল ফুটে আছে,
ধরবার কেউ নেই।
উঃ—তারা।
ধাঁধাঁ ৩১.
আকাশ হতে পড়ল কল,
তার মধ্যে রক্ত।
বলতে হবে,
কি নাম তার?
উঃ—কালোজাম।
ধাঁধাঁ ৩২.
আসবে তারা যাদের স্বভাব,
ভাত ছড়ালে হবে না অভাব।
উঃ—কাক।
ধাঁধাঁ ৩৩.
আসলে নকল দেখি,
মাথা কেটে সিক্ত নাকি।
শেষ জোড়া দু নম্বরটা,
তাই নিয়ে যায় শিকারী।
উঃ—ভেজাল।
ধাঁধাঁ ৩৪.
আঘাত নয়,
দেশের নাম,
বলতে পারলে সম্মান।
উঃ—ঘানা।
ধাঁধাঁ ৩৫.
আচার্য মহাশয় বলেন,
কিন আশ্চর্য কথা!
কোল কালে কে শুনেছে,
ফলের আগায় পাতা।
উঃ—আনারস।
ধাঁধাঁ ৩৬.
ইংরেজিতে বাদ্য, বাংলায় খাদ্য
কিবা সেই ফল, চট করে বল।
উঃ—বেল।
ধাঁধাঁ ৩৭.
আট পায়ে চলি আমি,
চার পায়ে বসি।
কুমির নই, বাঘ তো নই
আস্ত মানুষ কিন্তু গিলি।
উঃ—পালকি।
ধাঁধাঁ ৩৮.
উপরে তা দিলে অন্ডতে হয় বাচ্চা
লেজ বাদ দিলে মাথা বাঁচায় আস্থা।
উঃ—ছাতা।
ধাঁধাঁ ৩৯.
আট চালা ঘর তার,
একটিই খুঁটি
ঘর বন্ধ করতে হলে
তার টিপতে হয় টুটি।
উঃ—ছাতা।
ধাঁধাঁ ৪০.
আদি স্থানে একুশ দিয়ে
পাঁচ অংকের সংখ্যা ভাই।
চার দিয়ে করলে গুণ
উল্টে যায় সংখ্যাটাই।
উঃ—২১৯৭৮।
ধাঁধাঁ ৪১.
আমি যখন এলাম, কেন তুমি এলে না
তুমি যখন এলে, কতো কি খেলে,
একবার গেলে, ফের তুমি এলে,
কিন্তু হায়! বৃদ্ধাকালে মোরে ছেড়ে গেলে।
উঃ—দাঁত।
ধাঁধাঁ ৪২.
আমি যারে আনতে গেলাম,
তারে দেখে ফিরে এলাম
সে যখন চলে গেলো
তখন তারে নিয়ে এলাম।
উঃ—বৃষ্টিও পানি।
ধাঁধাঁ ৪৩.
উপরে চাপ নীচে চাপ,
মধ্যেখানে চেরোয় সাপ।
উঃ—জিহ্বা।
ধাঁধাঁ ৪৪.
আমি যাকে মামা বলি,
বাবাও বলে তাই,
ছেলেও মামা বলে,
মাও বলে তাই।
উঃ—চাঁদ
ধাঁধাঁ ৪৫.
উপর থেকে পড়ল বুড়ি রঙ্গিন জামা গায়,
যে পায় সে ঘরে নিয়ে রস তার খায়।
উঃ—তাল।
ধাঁধাঁ ৪৬.
আমি তুমি একজন
দেখবে একই রূপ।
আমি কতো কথা কই,
তুমি কেন চুপ।
উঃ—ছবি।
ধাঁধাঁ ৪৭.
এপারে ঢেউ, ওপারে ঢেউ
মধ্যিখানে বসে আছে,
বুড়া বেটার বউ।
উঃ—শাপলা।
ধাঁধাঁ ৪৮.
আত্মীয়রা বসাতে পারে না ভাগ,
চোরে করতে পারে না চুরি।
দান করলে হয় না ক্ষয়।
বলতো দেখি কোন জিনিষ হয়।
উঃ—জ্ঞান।
ধাঁধাঁ ৪৯.
ইড়িং বিড়িং তিড়িং ভাই,
চোখ দুটি তার মাথা নাই।
আছে দুটি বাঁকা হাত,
পানিতে বসে খায় ভাত ।
উঃ—কাঁকড়া।
ধাঁধাঁ ৫০.
এক গোছা দড়ি,
গোছাতে না পারি।
উঃ—রাস্তা।
The post ধাঁধাঁর আসর পর্ব (১) appeared first on Amar Bangla Post.